মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০১৩
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৩
আর আমরা কোরাস গাইবো “ কিছুই কি করার নেই আমাদের...... কিছুই কি করার নেই আমাদের......”
বোন সাহানা কে বাঁচতে সাহায্য
কোরতে যেয়ে, ৬০ ভাগ পুড়ে যাওয়া ঝলসানো শরীর নিয়ে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে কায়কোবাদ
আজিজ!? দেরি হয়ে যাবার আগে আওয়াজ তুলা এবং শক্ত অবস্থান নেওয়া জরুরী, ওনাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিয়ে যেতে। সামান্য সর্দি- কাশী হলে নেতারা
এবং ব্যবসায়ীরা সিঙ্গাপুর আর ভারত দৌড়ায়.........
সাভারের মারাত্মক আহতদের বিদেশ
নিতে কার্পণ্য মানবো কেন?
আহতদের উন্নত চিকিৎসার
যাবতীয় খরচ তো রানার সম্পত্তি এবং তার জারজ পিতা মুরাদ জং এর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত
করে সহজেই মেটানো যায়।
৫ গার্মেন্টস মালিককে ও
বিজেএমইএ কে বাধ্য করা হউক পিতা-মাতা হারানো
ছোট ছোট বাচ্চা গুলোর আগামী ১৬-১৮ বছর ভরন- পোষণ এবং পড়াশোনার ব্যবস্থা নিশ্চিত কোরতে।
নতুন প্রজন্ম, নতুন প্রজন্ম বলে যারা মুখে ফেনা তুলে ফেলেছে সে সমস্থ শাহাবাগি
এবং হেফাজতে ইসলাম আন্দোলনকারীদের বলছি, আপনারা দেশের সমস্ত তরুণ
সমাজের মুখপাত্র হবার দাবী করেছিলেন,এটাই সময় ও সুযোগ নিজেদের সততার প্রমাণ দেয়ার! আসেন আবার
মিলিত হই শাহবাগে ও শাপলা চত্বরে এবং বজ্র কণ্ঠে আওয়াজ তুলি উপরিউক্ত দাবীর পক্ষে।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস এটা ১৬ কোটি মানুষের দাবী...... যে দাবীর সাথে ব্যক্তিগত পাওয়া
না পাওয়ার কনও সম্পর্ক নেই.........
কথা দিয়ে না, বাস্তবে কাজ করে, যে ত্যাগ ,
দেশপ্রেম ও মানবতার নিঃস্বার্থ উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত
দেখিয়েছে সাধারণ মানুষ এবং সরকারী উদ্ধারকারীরা নিজের জীবন বাজী রেখে,এটা তাঁদের দাবী.........
ভাবছি, করছি, অমুক-তমুক ইত্যাদি বলে যদি ১০ টা দিন পার কোরতে পারেন আপনারা, তবে সবই আগের মতই ইতিহাস হয়ে যাবে......... আবার একটা বড় দুর্ঘটনা দ্রুতই
দরজায় কড়া নাড়বে, যার কারণ হবে, লোভ, অবিবেচনা, বিবেকহীনতা আর খামখেয়ালীপনা......... আর আমরা কোরাস গাইবো “ কিছুই কি করার নেই আমাদের...... কিছুই কি করার নেই আমাদের......”
সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৩
যা হবার তাই ত হচ্ছে! না কি অন্য কিছু হচ্ছে?
একাত্তরের যুদ্ধটা আমাদের এই বাংলাটার জন্য ছিল একটা ভূমিকম্প। ভূমিকম্প হলে যেটা হয় আর কি, প্রচণ্ড কম্পন ও দুলুনি.........
উপরের মাটি নীচে আর নীচের মাটি উপরে......... যারা ছিল সম্ভ্রান্ত, বিত্তবান আর প্রকৃত জ্ঞানী,সমাজ সেবক, সৎ নেতা তারা ক্রমান্বয়ে চলে গেল নীচে।
আর ধীরে ধীরে উঠে আসলো অজ্ঞ, অসৎ, অলস,অল্প শিক্ষিত, অশিক্ষিত, ঠগ, জোচ্চোর সুবিধাবাদীরা ।৮০ র দশক পর্যন্ত এই উঠে আসাটা ছিল ধীর, ৯০ এর দশকের মাঝামাঝি থেকে ব্যাপক ভাবে ............ নেতা হয়ে! সমাজপতি হয়ে অফিসের বড় বড় কর্তা হয়ে!
এমতাবস্থায় যা হবার তাই তো হচ্ছে! না কি অন্য কিছু হচ্ছে?
এবার একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি.........
প্রসঙ্গ-১
সৈয়দ আশরাফ সাহেব ক’মাস আগে উনার মহামান্য নেত্রীর ঊপস্থিতিতে বলেছিলেন ( সব টি ভি চ্যানেল খবরে প্রচার করেছিলো), নোবেল প্রাইজ? আরে আমি যখন ইংল্যান্ডে ছিলাম তখন দেখেছি, ঐ রকম প্রাইজ কেনা-বেচার জন্য রাতারাতি ভুঁইফোড় সংগঠন গজিয়ে যায়। ঊনার এই অতি মূল্যবান তথ্যটা যখন উনি ঐ সভার মাঝে বিগলিত হয়ে দান করছিলেন, তখন উনার নেত্রীর হাসি দেখে বিভ্রান্ত হই! মূল্যবান তো দুইটাই! কোনটাকে বেশী ভাববো!? তথ্যটা না কি নেত্রীর হাসি...... নেত্রীর হাসি না তথ্য!? জন্মিন দেশে যদাচার, নেত্রীর হাঁসিটাকেই শেষ পর্যন্ত বেছে নিতে বাধ্য হলাম.........
ওবায়দুল কাদের সাহেব মাত্র ক’দিন আগে বানী দিলেন ( এটাও সব টি ভি চ্যানেল খবরে প্রচার করেছিলো)......... বিশ্ব ব্যাংকের উচিৎ না গুটি ক’এক দু’চার জন দুর্নীতি বাজদের কথা চিন্তা করে পদ্মা সেতুর টাকাটা আটকে দেওয়া.........
আহা এমন বানী উনি দিলেন যে আমাদের নবী পয়গম্বর সমতুল্য সৎ, বিজ্ঞ ও দেশ প্রেমী বুদ্ধিজীবীদের কলম চালানো আটকে দিলেন! অবস্থা এমন যে সব বুদ্ধিজীবীরা হাতে থালা নিয়ে পথে নামতে দেরি! যাও হলমার্ক ছিল, কিন্তু সেটা নিয়েও তো বেশী কিছু লেখা যাচ্ছে না! থলের বাঘ যে হালুম করে খেয়ে নিলো বোলে....... কিন্তু ঐ যে বলেছি উনারা নবী- পয়গম্বর সমতুল্য! বিধাতা কি মুখ ফিরিয়ে রাখতে পারে উনার অলিদের থেকে! পারে না.........
পারে না বলেই বৌদ্ধদের উপর হামলে পরল কিছু হায়না?
প্রসঙ্গ-২
যে কেউ ইসলামকে আক্রমন করলে তার জন্য সমগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠীর উপর আক্রমন করার অনুমতি কেউ কাওকে দেয় নাই।সবার জানা থাকাটা খুব জরুরী যে, "কুরআন" না "হাদিস" এই ক্ষমতা কাওকে দিয়েছে । ঐ সকল মুসলমান নামধারী অশিক্ষিত, অজ্ঞ মুসলিম রক্ত গরম তখনই করে যখন তাদের ফরজ-সুন্নাহ কামাই দেয়ার পাল্লা ভারী হয়ে যায়। এটা সুস্পষ্টভাবে "ইসলামের আর শারী'য়ার" লংঘন।
এটা নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের তো এখন শোণই শোণই অবস্থা, বৃহস্পতি তুঙ্গে......... সভ্য হবার দৌড়ে কেও কারও পিছে না থাকার প্রতিযোগিতায় বেচারা উসাইন বল্ট এর কেরাবিয়ান সমুদ্রে সমাধি!
নদীর ওপারে মুসলমানদের কচু কাটা হচ্ছে, বাদ যাচ্ছে না শিশু,মেয়ে, বৃদ্ধ............ অত্যাচারিত, নিগৃহীত, সহায় সম্বলহীন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া মানুষগুলো একটুখানি বাঁচার আশায় নদীর এই পারে আসতে চাচ্ছে......... আমরা ধাক্কা দিয়ে নদীতে ঠেলে দিচ্ছি! ভুলে গেলাম ৭১’এ এমনই অসহায় হয়ে লক্ষ লক্ষ এই দেশের মানুষ পাশের দেশে ঠাই পেয়েছিলো?!
এমনকি একজন মুসলিম রোহিঙ্গার সন্তান জন্মদানের অধিকারও কেড়ে নেয়া হয়েছে। তারা সরকারী অনুমোদন ছাড়া বিয়ে করতে পারে না, যদি সরকারী অফিসারকে মোটা অংকের ঘুষ না দেয় তাহলে এটাও সচরাচর সম্ভব হয় না। আমেরিকান ফটোগ্রাফার গ্রেগ কনস্টানটাইন সম্প্রতি একটি বই প্রকাশ করেছেন সাদাকালো ফটোগ্রাফির যার শিরোনাম, “Exiled to Nowhere: Burma’s Rohingya”। তিনি একটি ঘটনা বর্ণনা করেছেন, ২০ বছর বয়স্ক খাসিদা, যে নিজের জীবন বাঁচাতে তার স্বামীকে নিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিল। বার্মা কর্তৃপক্ষ তার বিয়ের অধিকারকে অস্বীকার করেছে, কিন্তু যখন তারা দেখল যে মেয়েটি গোপনে বিয়ে করেছে এবং সে গর্ভবতী তখন মায়ানমার সরকার তার পরিবারের সকল অর্থ আত্মসাৎ করল, গবাদি পশু, গরু ও ছাগল গুলোও নিয়ে নিল। তারা খাসিদাকে জোর করে গর্ভপাত করাল। তাকে বলা হয়েছিল, “এটা তোমার দেশ নয় ! তোমার কোন অধিকার নেই এখানে সংখ্যাবৃদ্ধি করার”।
......১৯৪৮ সালে যখন ব্রিটেনের কাছ থেকে মায়ানমার স্বাধীনতা লাভ করলো তখন থেকে মায়ানমারের বৌদ্ধরা এ ধরণের অপরাধ সংঘটিত করে আসছে দশকের পর দশক ধরে অনেক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর ও নৃতাত্তিক গোষ্ঠীর উপর।
হিংস্র হয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা আর তাঁদের ঠাই দেওয়া এই পারের অশিক্ষিত, অজ্ঞ রক্ত গরম মুসলিমরা যে প্রতিক্রিয়াহীন হয়ে বসে নাও থাকতে পারে, এটা আমাদের সরকার আর বিজ্ঞ বিজ্ঞ নবী- পয়গম্বর সমতুল্য বুদ্ধিজীবীরা চিন্তাও করতে পারেন নাই বোলে দাবী করছেন! চিন্তা ওনারা করবেন কি করে রোহিঙ্গারা তো আর মানুষ না ওনাদের কাছে...... ওরা তো শ্রেফ মুসলমান......... আর তাইতো পৃথিবীর কোঁথাও কনও অমানুষ মুসলমানরা বছরে পর বছর কচু কাটা হলে ওনাদের কলম চলে না! চলবেই বা কেন? পয়সার ঝনঝনানি যে ঐ সমস্ত অমানুষ মুসলমানদের বিরুদ্ধে লেখলে!
এই সমস্ত বুদ্ধিজীবীদের কাতারে সামিল হওয়ার জন্য যারা এখন সুযোগটাকে কাজে লাগাতে উঠে পড়ে লেগেছে তাঁদের মনে রাখতে হবে, এই রকম এক চোখা নীতি নিয়ে চললে সামনে আরও সুযোগ অপেক্ষা করছে। আর যদি দু'চোখ খোলা নীতির মন্ত্র আয়ত্ত করা যায় তবে সামনে আর সুযোগ পাবেন না। অর্থাৎ এ'রকম বীভৎস অনইস্লামিক ঘোটনা ঘটবে না। আর যদি খাঁটি বাঙ্গালী মুসলমানের মতো এই সহজ কথা বুঝে না আসে তবে আজকের প্রথম আলো পত্রিকায় শ্রদ্ধেয় আনিসুল হক সাহেবের এই লেখাটা পড়ে নেন
ইউটিউব কি আমরা দেখব না?
মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা......... বাঙ্গালী মুসলমান!
যে মুসলমানিত্তের সাথে কোরআনের তথা প্রকৃত মুসলমানের কনও মিল নেই। শুধু নামেই মুসলমান!মিথ্যা, শঠতা, কপটতা, হিংসা, পরনিন্দা, আত্ম প্রশংসা, তৈল মর্দন, মূর্খতা (যে জানে না সে মূর্খ না, যে জানতে চায় না, সে মূর্খ-সক্রেটিস) অপরের সম্পদ অন্যায় ভাবে আত্মসাৎ করা,মেয়েদেরকে যতভাবে সম্ভব নীচে নামানো ও হেনস্থা করা,
সম্পত্তির ভাগ না দেওয়া ইত্যাদি হচ্ছে এই দেশের মুসলমানদের কাজের তথা আমলের পরিচয়। অন্যের জায়গা জমি, বাসা- দোকান গায়ের জোরে দখল করার কথা না হয় নাই বললাম......এই মুসলমান আর ইসলাম তো আমি কোরআন আর হাদিসে আতি-পাঁতি করে খুঁজেও পেলাম না! পেলাম উলটা টা............
মুসলমানের কনও অভাব এই দেশে নেই! যতো অভাব ইসলামের!
প্রসঙ্গ-৩
যার মোবাইল রিং টন এ শূরা, হামদ, নাত থাকে,সে হচ্ছে মহা টাউট! অন্তত আমার অভিজ্ঞতা তাই বলে......... দারি, টুপি, আলখেল্লা হচ্ছে নিজেকে ফেরেশতা প্রমাণ করার লেবাস!
প্রয়োজন ছারাই অথবা সামান্য কারণে ঋণ করা, সেই ঋণ শোধ না করার নানান তালবাহানা...... টাকা ধারের নামে নিয়ে শোধ না করাটা মস্ত বড় বাহাদুরি......... এটা যে একটা ফাইন আর্ট, বিশ্ব চাইলে এই জ্ঞানটা আমরা মুফতে দিতে পারি। রাষ্ট্রীয় ভাবে এই কাজে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে সহযোগিতা করা হয়! মানি ব্যাক গ্যারান্টি দিয়ে এই অফারটা দিয়ে দেখতে পারেন, যারা বিদেশে আছেন.........
অপ্রয়োজনে সাধারণ আইন ভঙ্গ করে( যেমন ট্রাফিক আইন) বুক ফুলিয়ে হাঁসতে হাঁসতে গলাবাজি করায় আমাদের কনও জুরী নেই! একজন শিক্ষিত ও একজন অশিক্ষিত,সু্টেট-বুটেট ও প্রায় উলঙ্গ একজন খেটে খাওয়া ড্রাইভার আর একজন ধনী, শিক্ষিত ড্রাইভারের মধ্যে সামান্যতম তফাৎ নেই! প্রমাণ চান?
জাহাঙ্গীর গেটের ভিতর আর বাহিরে তাদের এটিচুডটা লক্ষ করলেই পেয়ে যাবেন।
প্রসঙ্গ-৪
রাস্তাতেও একই ......... যেন পথিকের জন্য কনও আইন এই দেশে নেই, থাকলেও তা মানা মহা অন্যায়......... কি ভবঘুরে বা ভিখারি, পুরুষ- মহিলা, চাকরিজীবী বা ব্যবসায়ী, ছাত্র- অছাত্র,সবাই একতা বদ্ধ এবং সুশৃঙ্খল ভাবে আইন ভঙ্গ করে চলছে!
ট্রাফিকের সার্জেন আর হাবিলদাররা যে কি ভাবে এতো কঠিন ধৈর্যের পরিচয় দেয়, একমাত্র আল্লাহ পাক জানেন.........
ছাত্রদের কথা যতো কম ভাবা যায় ও বলা যায় ততোই ভালো.........মূর্তিমান আতঙ্ক!?
সবার আগে একটা মহা সংস্কার দরকার......... তথাকথিত ইসলামী চিন্তাবিদদের, মসজিদের ইমামদের, মাদ্রাসার, ইসলাম প্রচারকারী আর আমাদের সবার প্রিয় হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর থেকেও বড় বড় আল্লাহ প্রেমী হজরত হজরত হজরত পীরদের......... এটা শুধু এই দেশে না...... ভারত পাকিস্তান সব খানেই......
তারপরই সাধারণ মানুষ এবং ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা বুঝবে ১৪ বছরের মালালার আহত হওয়া কেন এতো বড়, আর কেনইবা ১৬ বছরের আবদুর রহমান আল আওলাকির ১৭ বছর বিনা বিচারে আমেরিকার দারা জেল খাটাতা তুচ্ছ!কোনটা রাজনীতি আর কোনটা ধর্ম নীতি......
যেমন বীজ, ফল তো তেমনি হবে......... না কি ভুল বললাম কিছু! ভুল কিছু বলে থাকলে, কড় জোরে মাফ চাচ্ছি.........
আজকাল তো আবার ভালো কথা বলা আর করাটা মহা অন্যায় এই সমাজে।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)